বাংলায় সাবনেটিং । নেটওয়ার্কিং পর্বঃ ১
আমরা যারা কম্পিউটার নেটওয়ার্ক কোর্স শুরু করি বা শেখা আরম্ভ করি, তখন অনেকের মধ্যেই এক রকম চিন্তাr উদয় হয় এই সাবনেটিং নিয়ে! পরীক্ষায় তো প্রবলেম দিয়ে দেয় এবং সেটার সল্ভ করার জন্য এই বিষয়ে ভালো আইডিয়া থাকা দরকার না হলে তালগোল পাকিয়ে ফেলাটা খুব অস্বাভাবিক ব্যাপার নয়। তো সহজভাবে আজ ১ম পর্বে আমরা শুধু এই সাবনেটিং কি সেটা দেখব।
শুরু করার পূর্বে চলুন নিচের এক্সাম্পলটা খেয়াল করি।
এইযে ধরুন ৬ জন বন্ধু মিলে একটা ১০ ইঞ্চির পিজ্জা অর্ডার দিলেন। এখন খাবার পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে একে ৬টা আলাদা টুকরা করা হলো। এরপর ৬ জনের মাঝে বন্টন করে দেয়া গেল খুব সহজেই। এইযে একটা গোটা পিজ্জাকে ৬টি অংশে (কম বেশি হতে পারে) ভাগ করা হলো ধরে নেই এগুলা হলো “সাব পিজ্জা” !
তেমনি, একটা বড় নেটওয়ার্ককে ছোট ছোট নেটওয়ার্কে ভাগ করার প্রক্রিয়াকে বলে “সাবনেটিং” ! আর ছোট্ট অংশগুলোকে বলা যেতে পারে “সাবনেটস/সাবনেটওয়ার্কস ”
কি খুব কঠিন ব্যাপার? না, একটু বুঝলেই সহজ। ছবিটা দেখলেই বুঝতে পারবেন।
প্রশ্ন হলো কি দরকার এই সাবনেটিং এর? আচ্ছা বিশাল একটা নেটওয়ার্ক ম্যানেজ করা সহজ নাকি একে আলাদা আলদা ভাগ করে ছোট করে ফেললে ম্যানেজ করা সহজ ? আর একই অর্গানাইযেশন এর মধ্যে ভিন্ন ভিন্ন ডিপার্টমেন্ট এর রিকোয়েরমেন্ট তো আলাদা হতে পারে তাইনা? তো এই সব কারণেই সাবনেটিং করে ফেলাটা বুদ্ধিমানের কাজ।
এই সহজ কঠিন নিয়ে একটা ভিন্ন এক্সাম্পল দেই। আমারা প্রায়ই বলিনা যে জিনিসটা পানির মতো সহজ! হ্যা, এই পানি যখন আমরা পান করি কত্তো ইজিলি তাইনা? আবার একই পানিতে সাঁতার কাটা কত্তো কঠিন (যারা এখনো শিখিনি তাদের জন্য)। তো এই সহজ কঠিন ব্যাপারটা সিচুয়েশনের উপর ডিপেন্ড করে।
তো, মূল প্রসঙ্গে আসি, পরবর্তী পর্বে আমরা টুকটাক আইপি এড্রেস নিয়ে একটু আলোচনা করব। ধন্যবাদ সবাইকে । বেশি বেশি শেয়ার করবেন।